বড়পীর (রহঃ) মাতার গর্ভে
হযরত সাইয়্যেদ আবু সালহ মূসা (রহঃ) তাঁর সতী সাধ্বী প্রিয়তমা স্ত্রী সাইয়্যেদা উম্মে
খায়ের ফাতেমাকে নিয়ে জীবন যাপন করতে লাগলেন।তাদের ছােট এই সংসারে সব সময় শান্তি বিরাজিত ছিল। হযরত আবুস সালেহ মূসা (রহঃ)
কৃষিকাজ ও পণুপালন করতেন। আল্লাহ্ তাআলার প্রকৃত মােমীনই সব সময় আল্লাহ্ তা'আলার
এবাদত এবং বন্দেগীতে সময় অতিবাহিত করতেন।
সাইয়্যেদ আবু সালেহ মূসা (রহঃ) এবং সাইয়্যেদা উম্মে খায়ের ফাতেমা বিবি তাঁর দু'জনই
মহান আল্লাহ্ তা'আলার এবাদত বন্দেগীতে সময় কাটাতেন। কিন্তু তাঁদের সংসারে কোন সন্তানাদি
জন্মাল না। এর জন্য তাঁরা আল্লাহ্ রাব্বল আলামীনের কাছে কোন ধরনের অভিযােগ করলেন না।
কারণ মহান আল্লাহ্ তা'আলার প্রতি তাঁদের ছিল অগাধ বিশ্বাস। আসলে মা'মিন আল্লাহভক্ত
তাঁদের যৌবন পেরিয়ে গিয়ে বৃদ্ধ বয়স আসল । সায়্যেদা উম্মে খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-এর বয়স
পঞ্চাশ বছর অতিক্রম হয়ে যাট বছরের নিকটে আসল। তাঁর চেয়ে বেশি বৃদ্ধ হলেন হযরত আবু
সালেহ মূসা (রহঃ)। তাদের যৌবনকালে সন্তানাদির ইচ্ছা মনে জাগলেও এই বৃদ্ধ বয়সে সেই
ইচ্ছা আর নেই। আর এদিক দিয়ে বিবি উম্মে খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-এর যে বয়স হয়েছে তাতে
মহান আল্লাহ্ তাআলার কুদরত হল অন্যরকম। তিনি হলেন সর্বজ্ঞ। তাঁর রহমতের শেষ
বসন্তের আগমণের সঙ্গে সঙ্গে সাইয়্যেদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-এর গর্ভেধারণ করেন।
সুলতানুল আওলিয়া গাউসুল আযম হযরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)। তাঁর পিতা-
মাতা দু'জনেই মহান আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে শােকরিয়া আদায় করলেন। তাদের পুণ্যময়
জীবনের চলমান গতিধারায় নতুন আনন্দ, নতুন প্রেরণার দোলায় আন্দোলিত হতে লাগল। কে
মহান আল্লাহ্ তা'আলার এবাদত বন্দেগীতে সময় কাটাতেন। কিন্তু তাঁদের সংসারে কোন সন্তানাদি
জন্মাল না। এর জন্য তাঁরা আল্লাহ্ রাব্বল আলামীনের কাছে কোন ধরনের অভিযােগ করলেন না।
কারণ মহান আল্লাহ্ তা'আলার প্রতি তাঁদের ছিল অগাধ বিশ্বাস। আসলে মা'মিন আল্লাহভক্ত
ব্যক্তিদের এই বিশ্বাসপরায়নতাই হল আসল সুখ-শান্তি পাওয়ার প্রকৃত রাস্তা।
আল্লাহ্ তা'আলার কুদরত বুঝতে মানুষের সাধ্য নাই? আল্লাহ্ তাআলার এবাদত-বন্দেগী
করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। মানুষের কর্ম হল জন্ হতে মৃত্যু পর্যন্ত পবিত্র আল্লাহ্ তা আলার
নৈকট্য লাভের জন্য সাধনা করে যাওয়া। ইসলামের বিধি-
করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। মানুষের কর্ম হল জন্ হতে মৃত্যু পর্যন্ত পবিত্র আল্লাহ্ তা আলার
নৈকট্য লাভের জন্য সাধনা করে যাওয়া। ইসলামের বিধি-
বিধান মেনে চলা। নামায, রােযা, হজ্ব,
যাকাত প্রভৃতি পালন করে তার সাথে আল্লাহ্ তা'আলার যিকির করে সৎ রাস্তা থেকে ঈমানের
এই সত্যধর্ম বুকে ধারণ করে হযরত আবু সালেহ মূসা (রহঃ) আর সায়্যেদা উম্মে খায়ের
ফাতেমা দিন কাটাতে লাগলেন। তারপরে তাদের সংসারে কোন সন্তানাদি আসল না। এরপরে
তাঁরা একটুও দুঃখ প্রকাশ করল না। সব সময় আল্লাহ্ তআলার এবাদতে মশৃগুল থাকতেন।
যাকাত প্রভৃতি পালন করে তার সাথে আল্লাহ্ তা'আলার যিকির করে সৎ রাস্তা থেকে ঈমানের
সাথে মৃত্যুবরণই হল আল্লাহভক্ত বান্দাদের অনন্ত আশা এবং তাদের প্রকৃত জীবন ধর্ম।
ফাতেমা দিন কাটাতে লাগলেন। তারপরে তাদের সংসারে কোন সন্তানাদি আসল না। এরপরে
তাঁরা একটুও দুঃখ প্রকাশ করল না। সব সময় আল্লাহ্ তআলার এবাদতে মশৃগুল থাকতেন।
তাঁদের যৌবন পেরিয়ে গিয়ে বৃদ্ধ বয়স আসল । সায়্যেদা উম্মে খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-এর বয়স
পঞ্চাশ বছর অতিক্রম হয়ে যাট বছরের নিকটে আসল। তাঁর চেয়ে বেশি বৃদ্ধ হলেন হযরত আবু
সালেহ মূসা (রহঃ)। তাদের যৌবনকালে সন্তানাদির ইচ্ছা মনে জাগলেও এই বৃদ্ধ বয়সে সেই
ইচ্ছা আর নেই। আর এদিক দিয়ে বিবি উম্মে খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-এর যে বয়স হয়েছে তাতে
সন্তান জন্মাবার সম্ভাবনা আর নেই।
বসন্তের আগমণের সঙ্গে সঙ্গে সাইয়্যেদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-এর গর্ভেধারণ করেন।
সুলতানুল আওলিয়া গাউসুল আযম হযরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)। তাঁর পিতা-
মাতা দু'জনেই মহান আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে শােকরিয়া আদায় করলেন। তাদের পুণ্যময়
জীবনের চলমান গতিধারায় নতুন আনন্দ, নতুন প্রেরণার দোলায় আন্দোলিত হতে লাগল। কে
যেন তাদেরকে চুপে চুপে বলে গেল-হে পুণ্যময় চরিত্রের অধিকারী নব দম্পত্তি ।
মহান আল্লাহপাকের দান এক অমূল্য রত্ন তােমাদের গৃহে আগমন করবেন। যার মধুর স্পর্শে এই বিশ্ব
চরাচরে সর্বনিয়ন্ত্রা আল্লাহ্র পরিচয় সূত্রে নতুনভাবে পরিচিত হবে। তােমরা খুশি মনে সে রত্নেরপ্রতীক্ষায় সময় কাটাতে থাক।
0 Comments
Please Don't Send Any Spam Link